বাঙালি সমাজের লোকায়ত উত্সব গুলির মধ্যে অন্যতম হল জামাই ষষ্ঠী। যে সংসারে মেয়ে, জামাই, শ্বশুর শাশুড়ি আছেন, সেই সব সংসারই এদিন মেতে ওঠে জামাই ষষ্ঠীর উত্সব পালনে। আজ আমরা জেনে নেব কী ভাবে জামাই ষষ্ঠী পালনের প্রচলন শুরু হল আমাদের রাজ্যে। তবে চলতি বছরে ১২ জুন জামাই ষষ্ঠী !
পুরাণ কথা অনুসারে, এক মহিলা তাঁর বাড়িতে রোজ যা রান্না হত তা লুকিয়ে খেয়ে ফেলতেন এবং খাবার না থাকার জন্য দোষ চাপাতেন বেড়ালের উপর। রোজ একটা বেড়াল সব খাবার চুরি করে খেয়ে নেয় বলে দাবি করতেন তিনি। মা ষষ্ঠীর বাহন হল বেড়াল। বিনা কারণে তাঁর বাহনের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন মা ষষ্ঠী। ষষ্ঠী দেবীর অভিশাপে ওই মহিলা সন্তানের জন্ম দিলে সেই সন্তানের মৃত্যু হত। তখন ওই মহিলা নিজের ভুল স্বীকার করে মা ষষ্ঠীর আরাধনা করেন। তাঁর পুজোয় প্রীত হয় ষষ্ঠী দেবী তাঁর সন্তানদের প্রাণ ফিরিয়ে দেন।
এদিকে ওই মহিলার শাশুড়ি মা সব জানতে পেরে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে তাঁর বাপের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেন। অনেক দিন মেয়েকে না দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে ওই মহিলার বাবা মা জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে মেয়ে জামাইকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। মেয়ে জামাই তাঁদের বাড়িতে যান এবং সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। সেই থেকে জ্যৈষ্ঠ শুক্লা ষষ্ঠী তিথি জামাই ষষ্ঠী নামে পরিচিত হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন