Top News

নির্লজ্জতার চরম নিদর্শন ! রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য সরকারি অফিসাররাই চাইছেন কাটমানি !

 



সমাজের একেবারে নিম্নবিত্ত, গরিব মেয়েদের বিয়েতে আর্থিক সহায়তা করার লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তৈরি প্রকল্পের নাম রূপশ্রী। এই রূপশ্রী প্রকল্পে বিয়ের সময়ে গরিব পরিবারের কন্যার হাতে তুলে দেওয়া হয় এককালীন ২৫ হাজার টাকা। রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার পরে নিয়ম অনুযায়ী পাত্র-পাত্রীর বিশদ জানিয়ে বিবরণ দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হয়।

 

পাত্রী পক্ষ থেকে সেই আবেদন করা হয়। কারণ এই ২৫ হাজার টাকা গরিব মেয়ের বিয়ের জন্যই দেয় রাজ্য সরকার। আবেদন করার পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর পঞ্চায়েত বা ব্লক স্তরের কর্মী বা অফিসাররা সেই আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সম্পূর্ণ বিশদে জেনে নেন। আর তারপরেই অ্যাকাউন্টে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা জমা পড়ে।

 

অবাক হয়ে যেতে হয়, রূপশ্রী প্রকল্পে সরকারের ২৫ হাজার টাকা দিতে গিয়েও আধিকারিকরা যখন তার বাড়িতে যান, সেখানে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়া হয়। ঘটনাটি মালদা জেলার চাচলের জালালপুরের। পাত্রীর বাবা আনোয়ার হোসেন দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ। মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা যোগাড় করতে পারছিলেন না। তার মেয়ে আজিমা খাতুন জানান, দপ্তরের অফিসাররা যখন তার বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য যান, তখন তাদের কাছে ১০০০০ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দিলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে বলা হয়। তারা টাকা দিতে পারেননি। ফলে সেই আবেদন বাতিল হয়ে যায়। তারা চাচল ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

জেলাশাসক ঘটনার কথা জেনেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোবারক হোসেন বলেন, বিডিওর সঙ্গে দেখা করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন তিনি। আর বিজেপির তরফে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমাজে দুর্নীতি কোন জায়গায় পৌঁছেছে, তা এই ঘটনা দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায়। একজন দৃষ্টিহীন বৃদ্ধের মেয়ের বিয়েতে সরকারি প্রকল্পের টাকা দেওয়ার জন্য 10000 টাকার কাটমানি চাওয়া হয়েছে, যা লজ্জায় মাথা হেট করে দেয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন