লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবার সাথে সাথেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনা। বোমাবাজি মারধর ভারী পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনাও হচ্ছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ কোন অভিযোগ নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্ট অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিল বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায়।
কলকাতা হাইকোর্ট এদিন তীব্র ভর্ৎসনা করে রাজ্যকে।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র নির্দেশ দেন, লোকসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ব্যক্তি সরাসরি ইমেইল মারফত অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যের ডিজিকে। আদালতগ্রাহ্য হলে এ বিষয়ে স্থানীয় থানাকে উপযুক্ত ধারায় এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিতে হবে ডিজিকে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'একমাত্র রাজ্য যেখানে ভোট পরবর্তী এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটেছে। মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আদালত চুপ করে বসে থাকতে পারে না।'এরপরই রাজ্য পুলিশের ডিজির নজরদারিতে পুলিশকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র।
আদালত জানিয়েছে, পুলিশ যে এফআইআর করবে তা রাজ্যে পুলিশের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। যাতে পুলিশের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ওয়াকিবহাল হতে পারেন।এফআইআর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন পড়লে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যের কোন কোন জেলায় কী কী অভিযোগ জমা পড়েছে? কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তথ্য প্রমাণ আদালতে জমা দিতে হবে। অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ না করার জন্য পুলিশকে সতর্ক করেন বিচারপতি। বিচারপতি জানান, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।'
আগামী সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আলাদা করে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন