ইতিমধ্যে ওই মেট্রোর খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্লানেড— এই চারটি ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণ ও মেট্রো চলাচলের সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে। বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা যন্ত্রাংশ এনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও শুরু করেছে। এই কাজে ঐতিহাসিক সৌধ ভিক্টোরিয়ার ক্ষতি হতে পারে কি না, তা জানতে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা করা হয়েছিল।
মাদ্রাজ আইআইটি-এর তত্ত্বাবধানে করা ওই সমীক্ষায় অবশ্য আশঙ্কার আভাস মেলেনি। মাটির ১৪.৭ মিটার গভীরতায় ৩২৫ মিটার লম্বা ওই স্টেশন তৈরি হবে টপ ডাউন (উপর থেকে নীচের দিকে নির্মাণ) পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে। সে জন্য প্রয়োজনীয় ডায়াফ্রাম ওয়াল স্থাপনের কাজ করা হয়েছে গাছ প্রতিস্থাপনের অনুমতি মেলার পরেই৷
জোকা-বি-বা-দী বাগ মেট্রো প্রকল্পের অন্তর্গত এই স্টেশন। তাই এবার ভিক্টোরিয়া থেকে বাড়ি বা অন্যত্র যাওয়ার জন্য বাস বা ট্যাক্সির পাশাপাশি থাকছে মেট্রোর অপশনও। অনেক জটিলতার পর ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিলেছে। তাই ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ঠিক উল্টো দিকেই তৈরি হবে মেট্রো স্টেশন। দু’টো গেট থাকবে। একটা গেট তৈরি করা হবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দিকে, আরেকটা এসএসকেএম-এর দিকে। ভিক্টোরিয়ার সামনে মেট্রো স্টেশন করার বিষয়ে প্রথমেই অনুমতি মেলেনি ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষের।
ভিক্টোরিয়ার নীচ দিয়ে মেট্রো গেলে সৌধের কোনও ক্ষতি হবে কি না, সেই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল গত কয়েক বছর ধরে। কৃত্রিম কম্পন তৈরি করেও পরীক্ষা চালানো হয়। অবশেষে অনুমতির চাওয়ার প্রায় ৫-৬ বছর পর ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে মেট্রোর কাজে ছাড়পত্র দিয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন