নন্দীগ্রামে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তমলুক লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের। এরই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, ভোটে তৃণমূলকে ঠেকাতে বিজেপি তাঁদের দুই বুথ এজেন্টকে 'অপহরণ' করেছে।
নন্দীগ্রামে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তমলুক লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের। এরই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, ভোটে তৃণমূলকে ঠেকাতে বিজেপি তাঁদের দুই বুথ এজেন্টকে 'অপহরণ' করেছে। আজ ভোটগ্রহণ শুরু হতেই নিজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে বেড়িয়ে পড়েন দেবাংশু। তার আগে তমলুকে বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেন দেবাংশু। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী।
এদিকে অভিযোগ, ভোটারদের বুথে যেতে আটকাতে নন্দীগ্রামে সেতু ভাঙার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছে। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের বিরুলিয়া ১৩৪ নং বুথের অঞ্চল সভাপতি অরুনাভ জানাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, তমুলক লোকসভা আসন থেকে বিজেপির টিকিটে এবারে লড়ছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য ছাড়াও লড়ছেন সিপিআই(এমে)'র সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে লড়াইটা 'অধিকারী পরিবার' বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলেরও। এই তমলুকের অধীনে থাকা নন্দীগ্রামেই ২০২১ সালে মমতাকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু। এই তমলুক আসনটি অধিকারী পরিবারের দখলে রয়েছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই।
এদিকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে আছে তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রগুলি। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলেও শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর থেকে সাংসদ দিব্যেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই আবহে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ময়না, হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বাকি চারটি বিধনসভা কেন্দ্র অবশ্য তৃণমূল নিজেদের দখলে রেখেছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন