গরমে 'পাগল-পাগল' হওয়ার জোগাড়। আপাতত এখনই রেহাই নেই অসহ্য দহন থেকে সে বার্তা আগেই দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আর সারাদিন অফিস থেকে ফেরার পর যদি লোডশেডিং হয় তাহলে তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আর গরম পড়তেই লোডশেডিং জ্বালায় কার্যত নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। জেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শহরেও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা।
সোমবার দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ দাড়ি নেহেরু কলোনি রাতভর বিদ্যুৎহীন। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। নিদ্রাহীন রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। সারারাত জেগে হাত পাখা নিয়ে রাস্তাতেই মহিলারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিকবার সিইএসসির কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেও মেলেনি সাড়া। ফলত, গরমের মধ্যে চরম বিপাকে স্থানীয় মানুষজন।
শঙ্করী বসু নামের এক বৃদ্ধা বলেন, “কালকে কারেন্ট গিয়েছে। সারা রাত জেগে বসে আছি। এখনও লোডশেডিং। সারা রাত ঘুম হচ্ছে না। ছেলেরা কাজে যেতে পারছে না। দু’দিন ছাড়া ছাড়া কারেন্ট যাচ্ছে। সিইএসসি কোনও উত্তরই দিচ্ছে না।” তবে সিইএসসির দাবি, অনুমোদনহীন অত্যাধিক পরিমাণে বাতানুকূল যন্ত্র ব্যবহারের জন্যই এই সমস্যার কারণ। সিইএসসি-র সূত্রে খবর, এসি-র জন্য যা আবেদন জমা পড়ে বাজারে বিক্রি হয় তার থেকে বেশি। অধিকাংশেরই অনুমোদন নেই। এই বাড়তি লোডই বহু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অন্যতম কারণ।
উল্লেখ্য, বারবার লোডশেডিং নিয়ে সোমবার দুপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে আরও দ্রুততার সঙ্গে শহরবাসীর কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বার্তা দেন মন্ত্রী। কোথাও কোনও টেকনিক্যাল ফল্ট হলে, কী করণীয়, তাও বলে দেওয়া এই বৈঠকে। তারপরও কী টনক নড়েছে সিইএসসি-র? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন