বাংলায় কিছুতেই সিএএ লাগু করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল প্রতিটি সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএর বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েছিল। কিন্তু কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করে দেয়। তারপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে থাকেন, সিএএতে কেউ আবেদন করবেন না, আবেদন করলেই আধার কার্ড বা অন্যান্য প্রমাণপত্র নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়ে যাবে। বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে যাবেন। এইভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছিল। সেই বিভ্রান্তি এবার এক নিমেষেই কেটে গেল এই বাংলায়।
মমতা, অভিষেক সহ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বহু ধরনের বিতর্কিত কথা বলে সি এ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হলেও তা যে আদৌ সত্য নয়, তা প্রমাণ হয়ে গেল এবার। নদিয়া জেলার আসাননগর এর বাসিন্দা বিকাশ মন্ডল সিএএতে আবেদন করে পেয়ে গেলেন ভারতীয় নাগরিকত্ব। ২০১২ সালে বিকাশ মণ্ডল বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে পুরো পরিবার নিয়ে নদীয়ার আসাননগরে চলে আসেন। আর কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ পাস করার পরেই তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। বিকাশ মণ্ডল অনলাইনে আবেদন করার পর কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে ভেরিফিকেশন এর জন্য তাকে ডাকা হয়। তিনি সমস্ত নথিপত্র জমা দিলে তারপর তিনি ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার ভোটের পরে ১৫ ই মে প্রথমবার ৩০০ জন সিএএ আবেদনকারীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। দিল্লিতে ১৪ জনের হাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব সেই সার্টিফিকেট তুলে দেন। এবার দেশ জুড়ে সমস্ত রাজ্য থেকেই নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য আবেদনকারীরা আবেদন করতে শুরু করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন