পুরুলিয়াতে বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছেছে। কালবৈশাখীর দাপটে শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। জয়নগর স্টেশনে প্লাটফর্মে থাকার টিনের সেড উড়ে চলে গিয়েছে। কলকাতার ভিক্টোরিয়ার সামনে গাড়ির ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়েছে। গোটা শহরে বিশেষত রেড রোড(Red Road) সহ দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছে কালবৈশাখীর দাপটে।অবশেষে আচ্ছা দিন আসলো।আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর কলকাতা শহরের উপর দিয়ে ঘন্টায় ৪২ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ ছিল।বিকেলের দিকে দমকা হাওয়া বইতে থাকে।সোমবার প্রথম কালবৈশাখীর দাপটে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী বালিগঞ্জে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে বৃষ্টিপাত হয় ৬৭ মিলিমিটার, পামার বাজারে ৪৯ মিলিমিটার, ধাপাতে ৫৭ মিলিমিটার ,উল্টোডাঙাতে ৪৬ মিলিমিটার, তপসিয়াতে ৫২ মিলিমিটার এবং উত্তর কলকাতার ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এর পাশাপাশি মানিকতলায় মাত্র আধ ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টিপাত হয় ২৮ মিলিমিটার, বীরপাড়াতে ৩২ মিলিমিটার , বেলগাছিয়া দত্ত বাগানে ২৭ মিলিমিটার, দক্ষিণ কলকাতার চেতলাতে ২৬ মিলিমিটার ,বেহালাতে ১৪.৪ মিলিমিটার এবং বন্দর এলাকার মোমিনপুরে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। দ্রুত জল নিষ্কাশন করতে গঙ্গার লকেট গুলি খুলে দেয় কলকাতা পুরসভা। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই প্রাকৃতিক তাণ্ডব কলকাতা শহরে রাতে জারি থাকবে।
সন্ধ্যার পর হালকা বৃষ্টির মুখ দেখল কলকাতা বাসি। দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর সোমবার সন্ধ্যায় বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয় কলকাতা(Kolkata) শহর জুড়ে। তাপপ্রবাহে পেতে থাকা ভূমিষ্ঠ থেকে গরম হাওয়া তো শুরু করে বৃষ্টির জলে। অন্যদিকে জেলায় জেলায় সঙ্গে থেকেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি।অপেক্ষার অবসান। অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমে এলো ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। গত কয়েকদিন ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে তীব্র গরমে নাজেহাল হয়েছিল সাধারণ মানুষ। এবার তা থেকে মুক্তি পেল জঙ্গলমহল তথা জেলাবাসী। গত বেশ কয়েকদিন ধরে গরমে ভুগছিলেন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির দেখা মিল ছিল না। ফলে গরমের দাপট আরো বাড়ছিল। কবে বৃষ্টি হবে তার দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল সোমবার তুমুল বৃষ্টি হতে পারে জঙ্গলমহলের(Jangalmahal) একাধিক জেলায়।
আর ঠিক সেই মতো সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়ো হওয়ার সাথে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে এলো ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। ঘন্টায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বাতাস বইছিল জেলায়। ঝাড়গ্রামের, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, বিনপুর সহ সমস্ত জেলায় এই মুহূর্তে তুমুল বৃষ্টি চলছে। একটানা এই গরমের থেকে এবার মুক্তি পেলেন জেলা বাসি।তুমুল ঝড়-বৃষ্টিতে ধর্মতলায় আন্দোলনকারীদের মঞ্চ ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন