স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন 'রিমেল'। এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্য প্রশাসন। একইভাবে তৎপর পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষও। নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পূর্ব রেলের তরফে, তা বিস্তারিতভাবে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য আজ থেকেই বৃষ্য়ি শুরু হতে পারে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায়।
স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমেল'
আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের খেপুপাড়ায়
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা পূর্ব রেলেরও
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণঝড় 'রিমেল'। এই পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখছে প্রশাসন। একইভাবে তৎপর পূর্ব রেলও। নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে, তার বিস্তারিত বিবরণও দেওয়া হয়েছে।
১. পূর্ব রেলওয়ের সমস্ত বিভাগ যেমন হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদা এবং আসানসোলে পূর্ববর্তী ঝড়ের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সেফটি প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছিল, সেগুলি করা হবে।
২. ২৫ মে সকাল ৮টা থেকে ২৭ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, এসএন্ডটি বিভাগ, নিরাপত্তা ও পরিচালন বিভাগের কর্মকর্তাদরা ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালাবেন। কোনওরকম অস্বাভাবিকত্ব চোখে পড়লে ডিআরএম, এডিআরএম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা জানান হবে।
৩. স্টেশনের ভিতরে এবং বাইরের সমস্ত বিজ্ঞাপন বোর্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও বাণিজ্যিক বিভাগের কর্তাদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোন জায়গায় প্রয়োজন থাকলে সেগুলিকে মজবুতও করা হবে।
৪. প্ল্যাটফর্ম শেড পরীক্ষা করা হবে এবং উচ্চগতির ঝড় প্রতিরোধের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫. ২৫ মে থেকেই রেলের ট্র্যাক, ব্রিজ, ফুট ওভার ব্রিজ ইত্যাদির সুরক্ষার কর্মীদের মোতায়েন শুরু হচ্ছে৷
৬. জরুরি পরিস্থিতিতে আলোচনা করে DRM-এর মাধ্যমে ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৭. ঝড়ের সতর্কবার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে OHE-এর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে। ট্রেনগুলিকে বিশেষভাবে ইয়ার্ড/স্টেশনে থামানো হবে এবং যথাযথভাবে সুরক্ষিত করা হবে।
৮. ইয়ার্ডে মালবাহী এবং কোচিং রেকগুলি যথাযথভাবে সুরক্ষিত করা হবে।
৯. টাওয়ার কারগুলি যখন প্রয়োজন তখন সুইফট চলাচলের জন্য কৌশলগত স্থানে রাখা হবে।
১০. পূর্ব রেলের কর্মকর্তারা ঝড়ের আপডেট পেতে আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। পাশাপশি পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে ঝড় এবং ট্রেন চলচলের বিষয়ে জানান হবে।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামীকাল রবিবার মাঝরাতে সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের বরিশাল ডিভিশনের খেপুপাড়ায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। ল্যান্ড ফলের সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এই রাজ্যে সাইক্লোন রিমেল-এর সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। হাওয়া অফিস আরও জানাচ্ছে, আজ থেকেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে শহর কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন