Top News

ভোটের একদিন আগে দাসপুরে বিজেপি নেতার গাড়িতে উদ্ধার লাখ লাখ টাকা! আরো বিস্তারিত



ষষ্ঠ দফা ভোটের আগেই বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা। নাকা চেকিংয়ে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকা। চাঞ্চল্য। দাসপুরের খুকুড়দহ নাকা চেক পয়েন্টে নাকা চেকিংয়ের সময় বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার ২৪ লক্ষ টাকা।

সূত্রের খবর,আজ সকালে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত দাসপুর থানার খুকুড়দহ পয়েন্টে নাকা চেকিংয়ের সময় দাসপুরের বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২৪ লক্ষ টাকা। গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এই নগদ টাকার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি ওই বিজেপি নেতা এমনটাই খবর। আগমিকাল ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে। তার আগের দিন দাসপুরে নাকা চেকিংয়ে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর কদিন আগে বনগাঁয় ভোটের আগে ব্যবসায়ীর ঘরে লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ মেলে। টাকার উৎস জানতে গভীর রাতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগ। প্রায় ১৯ ঘণ্টা তল্লাশির পর ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৮০ টাকা।


ভোটের আগে ব্যবসায়ীর ঘরে কয়েক লক্ষ টাকার হদিশ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই টাকা কার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ব্যবসায়ী। দেখাতে পারেননি বৈধ কাগজপত্রও। গভীর রাতে বনগাঁ বাটার মোড় সংলগ্ন ওই ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগের তিন সদস্যের দল। জানা গিয়েছে প্রথমে সূত্র মারফত বনগাঁ থানার পুলিসের কাছে খবর আসে যে বনগাঁ বাটার মোড় সংলগ্ন কুমারেশ হালদার নামে ওই ব্যবসায়ীর ঘরে কয়েক লক্ষ টাকা মজুত রয়েছে। এরপরই বনগাঁ থানার পুলিস ওই ব্যবসায়ীর ঘরে এসে তল্লাশি শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাচন কমিশনের কয়েক জন আধিকারিকও। তাদের জেরায় ব্যবসায়ী কুমারেশ হালদার কোনওরকম সদুত্তর দিতে না পারলে খবর দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগে। তারপর কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগের কর্মীরা ওই ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে এসে টাকার উৎস জানতে জেরা শুরু করে।

যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলকেই পাল্টা নিশানা করেছে ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। হিরণ বলেন, “যে ভাবে আমার আপ্তসহায়কের বাড়িতে এসেছিল, এটাও সে রকমই এক চক্রান্ত। টাকা, বন্দুক, বোমা বাড়িতে, গাড়িতে ঢুকিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অনেককেই মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এ সব পুলিশকে দিয়ে করাচ্ছে তৃণমূল।“

অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি তন্ময় দাসের দাবি, উদ্ধার হওয়া টাকা দলেরই। তিনি জানান, “এটা দলের টাকা। পার্টি অফিসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা তোলার পর পার্টি অফিসে রেখেছিল। সাতটা বিধানসভা এলাকার পার্টি অফিসে দেওয়ার জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সমস্ত নথি আছে। তা পুলিশকে দেখানো হচ্ছে।“

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন