Top News

তৃণমূলের ইস্তেহার

 


গত ৬ এপ্রিল তৃণমূল ভবনে ইস্তেহার কমিটির বৈঠক বসে। এই কমিটিতে রয়েছেন মোট ১১ জন। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত মিত্র, ডেরেক ও ব্রায়েন, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুখেন্দুশেখর রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী। খসড়াটি তৃণমূল নেত্রীকে দেখানোর পর তাঁর অনুমতি নিয়েই প্রকাশ করা হবে।

ইস্তেহারের থিম — মোদীর গ্যারান্টি টেকসই নয়, কিন্তু তৃণমূল সরকারের প্রকল্প জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেছে।

ইস্তেহারে কেন্দ্রের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের কথা মাথায় রেখেই এই ইস্তেহার তৈরী হবে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি জানান, ইস্তেহারে বিশদে থাকবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করার বিভিন্ন বিষয়। এছাড়াও সাংবিধানিক বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে বিজেপি কিভাবে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে, সংবিধানকে অবমাননা করছে, বিজেপি সরকারের আমলে সর্বাধিক বেকারত্ব, বিভাজনের রাজনীতি, সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের উপর অত্যাচার, কৃষক বিরোধী পদক্ষেপ, শ্রমিক, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি এবং মহিলাদের উপর অত্যাচার এইসব বিষয়গুলিও থাকবে।

‘কৃষিক্ষেত্র, অর্থনীতি, বিকল্প জাতীয় নীতি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, সার্বভৌমত্ব, সমবণ্টন, সমাজের সব শ্রেণিকে সঙ্গে নিয়ে চলার’ মতো বিষয়গুলি নিয়ে পৃথক অঙ্গীকার এবং অনুচ্ছেদ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। বাংলার সরকার এখনও পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য যে যে কর্মসূচি নিয়েছে, সেগুলিকে ইস্তাহারে ‘শো কেসিং’ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।আগামী দিনে বাংলার মানুষের স্বার্থে তৃণমূলের ভাবনার কথাও বিশদে জানানো হবে।

এবার নির্বাচনি ইস্তেহারে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ এবং কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ এবং বাংলার সরকারের ‘বিকল্প দিশা’র কথা থাকবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন