সোমবার সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস মামলায় দীর্ঘ শুনানি হল। এক ধাক্কায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল করে গত সোমবার মাইলফলক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
- উচ্চ আদালতের সেই রায়ের উপর এদিনই কোনও স্থগিতাদেশ দিল না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ২৫ হাজার জনের চাকরি কেড়ে নেওয়া হল, এটা খুবই গুরুতর বিষয়। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই যদি জালিয়াতি না হয়ে থাকে তাহলে এই ২৫ হাজারের মধ্যে যোগ্য অযোগ্য কি আলাদা করা সম্ভব? যারা দুর্নীতি করেছে বা তার ফায়দা নিয়েছে তাদের অবশ্যই চিহ্নিত করা উচিত।
প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, 'যাদের নাম প্যানেলে ছিল না, তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। এটা পুরো দস্তুর জালিয়াতি।'
• আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, বেআইনি ভাবে ৮ হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই খুঁজে পেয়েছে। তাহলে সবার চাকরি কেন বাতিল করে দেওয়া হল?
• আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, একজন অভিযুক্তর জবানবন্দির উপর ভরসা করে কলকাতা উচ্চ আদালত সবার চাকরি বাতিল করে দিল। এটা কী করে সম্ভব? সিঙ্গল বেঞ্চের একজন বিচারপতি এটা করেছেন। ভুলে গেলে চলবে না যাদের চাকরি গেছে তাদের পরিবারের অন্তত চার জন করে তাঁদের উপর নির্ভরশীল। এ ব্যাপারে সবিস্তার শুনানি জরুরি।
• আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে মন্ত্রিসভার মন্ত্রী এবং সরকারের অফিসারদের ভোটের মধ্যে জেলে পাঠানো হতে পারে। মন্ত্রিসভার নোট তথা ক্যাবিনেট নোট প্রস্তুতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সকলকেই হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে সুপার নিউমেরি পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল। এখানে সেই সংক্রান্ত ক্যাবিনেট নোটের কথা বলা হয়েছে।
• সরকারি আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেন, ওএমআর শিট গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন