Top News

Madhyamik 2024: মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও এড়ানো গেল না প্রশ্ন 'ফাঁস'! এবারও সেই মালদা

 


মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। কিউ আর কোড কেটেও লাভ হল না। ইংরেজির প্রশ্ন পাচার করে ধরা পড়ে গেল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার দিন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রশ্নপত্র। একই ঘটনা দেখা গেল শনিবারও। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরে ভাইরাল সেই প্রশ্নপত্রের ছবি। শনিবারও প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে মালদহ জেলা থেকেই।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?


এদিন মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরে মালদহে এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর। যাতে ধরা না পড়ে সেজন্য  প্রশ্নপত্রে থাকা কিউ আর কোড লালকালি দিয়ে কেটে দিয়েছিল অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা। তাতে লাভ হয়নি। মানিকচকের গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল এই এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা দিতে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে এই সাত জন পরীক্ষার্থী কৌশলে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে। এরপর প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। এরপরই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সাত জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে। যার মধ্যে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থেকে প্রশ্নপত্রের ছবি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে বিদ্যালয় সূত্রে। তারপরই মোবাইলগুলি উদ্ধার করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্তা সহ পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছয় সেখানে। বেলা তিনটে নাগাদ পুলিশের তরফে ওই সাত পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাত জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী বললেন?

এই বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক (Madhyamik 2024) শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চক্রান্ত করেই এই কাজ করা হচ্ছে। বাংলার পর ইংরেজি। বিষয়টা আমরা খতিয়েও দেখছি। সব পরীক্ষার্থী মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। শুধুমাত্র মালদা জেলা থেকেই কেন এমনটা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কিউআর কোড মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মানে স্পষ্ট যে, সচেতন ভাবেই করছে।

এবছর নয় লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রত্যেকের প্রশ্নপত্রে আলাদা কিউ আর কোড রয়েছে। যার ফলে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র সহজেই চিহ্নিত করা যায়। প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি চক্রান্ত বলে জানিয়েছেন মধ্যশিক্ষা 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন