শুক্রবার সকালে কাছারি এলাকায় লাঠি - ঝাঁটা নিয়ে একজোট হন গ্রামবাসীরা। এর পর তৈয়ব খানের ভেড়ির দিকে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যান তাঁরা। এর পর তৈয়ব খানের ভেড়ির আলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভস্মীভূত হয়ে যায় অস্থায়ী ও কাঠামো। আগুন ধরিয়ে আলাঘর ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গায়ের জোরে জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছে তৈয়ব খান। প্রতিবাদ করে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে তার অনুগামীরা। এমনকী পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও অভিযোগ গ্রহণ করেনি। এমনকী জমির টাকা পরিশোধ করেনি সে। জমি হারিয়ে বছরের পর বছপ চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের।
গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে তৈয়ব খানকে গ্রেফতার করে তাঁদের জমি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বন্ধ করতে হবে শেখ শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচার। খবর পেয়ে বেড়মজুরে পৌঁছন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার একই রকম একটি ঘটনায় সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের ভেড়ি আলাঘর জ্বালিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। সেই খবর পেয়ে সিরাজউদ্দিন গ্রামে এলে তাঁকে লাঠি - ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বসিরহাটের পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান ও ডিআইজি বারাসত রেঞ্জ ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তাঁদের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামান গ্রামবাসীরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন