Top News

সাইবার অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি: পুলিশের সতর্কতা

  • সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির পতি সচেতনতা

    সাইবার অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতে সাইবার অপরাধের সংখ্যা ছিল ১,৫৯,৪৩৯। যা ২০২২ সালের তুলনায় 18% বেশি।সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে সব বয়সের মানুষ। তবে, শিশু এবং বয়স্করা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।সাইবার অপরাধের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফিশিং, অনলাইন প্রতারণা, হ্যাকিং, এবং ডেটা চুরি।সাইবার অপরাধের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। সাইবার অপরাধের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
ফিশিং: প্রতারণামূলক ইমেইল, লিঙ্ক, বা অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা।
অনলাইন প্রতারণা: জাল ওয়েবসাইট, লেনদেন, বা বিনিয়োগের প্রস্তাবের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারিত করা।
হ্যাকিং: ডিভাইস, সিস্টেম, বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত প্রবেশ।
ডেটা চুরি: ব্যক্তিগত, আর্থিক, বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা। সাইবার অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ,যেমন- আর্থিক ক্ষতি: অর্থ চুরি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি।
পরিচয়ের চুরি: ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং অবৈধভাবে ব্যবহার করা।
মানসিক হয়রানি: হুমকি, হয়রানি, এবং অনলাইনে অপমান।
সামাজিক ক্ষতি: সম্পর্কের ক্ষতি, খ্যাতি ক্ষুণ্ণ, এবং মানসিক অসুস্থতা।
তাই পুলিশ খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে এর তদন্ত শুরু করেছে এবং জনসাধারণকেও সরকার ও পুলিশ প্রশাসন কিছু সচেতনতা জারি করেছে।cybercrime.gov.in থেকে বিশেষ কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি
যেভারতে সাইবার অপরাধের সংখ্যা ২০২০ সালে 1,11,563 থেকে বেড়ে ২০২২ সালে 1,56,931 হয়েছে।
সাইবার অপরাধের শিকারদের মধ্যে 53% মহিলা।
সাইবার অপরাধের সবচেয়ে সাধারণ ধরন হল ফিশিং।
সাইবার অপরাধের ফলে ভারতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।

ওয়ার্কশপ ও কর্মশালা: স্কুল, কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্কশপ ও কর্মশালা আয়োজন করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট, ভিডিও, গ্রাফিক্স প্রকাশ করা হচ্ছে।
জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন: টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্রে সাইবার অপরাধের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপ: সাইবার অপরাধ সম্পর্কে তথ্য ও সহায়তা প্রদানের জন্য মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।
সাইবার অপরাধের তদন্তের জন্য বিশেষায়িত সাইবার থানা স্থাপন করা হচ্ছে।
সাইবার অপরাধের শিকারদের সহায়তার জন্য 24/7 হেল্পলাইন চালু করা হচ্ছে।পুলিশ কর্মীদের সাইবার অপরাধ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষকে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কর্মশালা আয়োজন করা হচ্ছে। 
এর জন্য বিশেষ ভাবে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে,সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
সাইবার অপরাধের তদন্তের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপগুলি ছাড়াও, পুলিশ জনসাধারণকে নিম্নলিখিত বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে:

অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
অচেনা ব্যক্তিদের থেকে আসা ইমেইল, লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট খোলার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত পরিবর্তন করুন।
আপনার ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন।
সাইবার অপরাধের শিকার হলে দ্রুত পুলিশকে জানান।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন