সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। নতুন মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানান হয়েছে। অন্যদিকে, সু্প্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে। সন্দেশখালির ঘটনার প্রভাব এবার গিয়ে পড়ল রাইসিনা হিলসেও।
এলাকা ঘুরে এসে রাষ্ট্রপতি ভবনে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তফসিলি কমিশন। দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিল তফসিলি কমিশনের টিম। তাঁরা ঘুরে এসেই রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে ঠিক কী কী উল্লেখ করা হয়েছে তা প্রকাশ না করা হলেও সন্দেশখালি ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি ভবনের হস্তক্ষেপ চাইছে তফসিলি কমিশন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার জানান, তাঁরা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছেন।
গত শুক্রবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। ওইদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন কয়েকশো মহিলা। সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। এরপরই শনিবার থেকে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে প্রশাসন। জারি হয় ১৪৪ ধারা। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা সন্দেশখালিতে খারিজ হয় এই ধারা। তারপর নির্দিষ্ট ১৯টি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।
সু্প্রিম কোর্টে সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছেন এক আইনজীবী। তাঁর আর্জি, বাংলার বাইরের তদন্তকারীদের দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত হোক। প্রয়োজনে সিবিআই বা বিশেষ সিট গঠনের দাবিও করেছেন তিনি। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে মোতায়েন করা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই আর্জি জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হার্ইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি চান তিনি।
বিগত কয়েকদিন ধরেই সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তাঁরা সেখানে যেতে পারেনি। উল্টে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর অসুস্থ হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুদিন ধরে বাধাপ্রাপ্ত। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমও এলাকায় যেতে না পেরে ফিরে এসেছে। তবে বিজেপির আর্জির পর রাজ্যপাল সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। তার আগে তিনি এলাকা পরিদর্শন করে যে রিপোর্ট দেন তাকে ভিত্তিহীন বলেছে তৃণমূল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন