রাজ্য যে চ্যালেঞ্জ করেছিল তা খারিজ হল। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কর ঘোষ শুধুমাত্র সন্দেশখালি যেতে পারবেন। তবে তাঁদের সঙ্গে কোনও দলীয় কর্মী বা সমর্থক থাকবে না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালির নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় যেতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই নির্দেশের পরই মঙ্গলবার সকালে শুভেন্দু সন্দেশখালি রওনা দেন। তবে তাঁকে ধামাখালিতে আটকানো হয়। শুভেন্দু জানান, এক ঘণ্টা তিনি ধামাখালিতে অপেক্ষা করবেন। তারপরও যদি পুলিশ তাঁকে এগোতে অনুমতি না দেয়, তাহলে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চের দ্বারস্থ হবেন।
এর মধ্যেই রাজ্যের তরফে ডিভিশন বেঞ্চে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা হয়। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, কেউ এলাকায় যেতেই পারেন, কিন্তু ১৪৪ ধারা বজায় রাখা উচিত। তবে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য ছিল, সন্দেশখালিতে জোর করে কৃষিজমি দখল করার অভিযোগ আছে। মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেছে এই পরিস্থিতি চলছে। ১৪৪ ধারা জারি করে কোনও লাভ হচ্ছে না।
মূলত এই প্রেক্ষিতেই রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এবং বিজেপির দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কর ঘোষকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এলাকায় যাতে কোনওভাবে শান্তি ভঙ্গ না হয়, সেই খেয়াল রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাত দিনের জন্য সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে মঙ্গলবারই সন্দেশখালির ১২ জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন