Top News

কর্মরত সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় সুর রাজ্য ছাড়িয়ে রাজধানীতেও আছড়ে পড়েছে

সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় কলকাতা প্রেস ক্লাব

 সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতার ঝড় একদিকে যেমন চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে অন্যদিকে দিল্লিতে ও প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ডঃ স্নেহাশিস সুর ও সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক এক লিখিত বার্তায় এই গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ধৃতের মুক্তি দাবি করেছেন।

তাঁদের আবেদন, যদি তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিকের গ্রেফতারে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রেস ক্লাব।‌ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় প্রেস ক্লাব কলকাতার সামনে থেকে রাজভবন অবধি সাংবাদিকদের একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে রওনা হওয়া এই মিছিলে প্রিন্ট, রেডিও, টিভি চ্যানেল, ওয়েব, ইউটিউব এর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।




সন্দেশখালিতে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিককে কর্মরত অবস্থায় গ্ৰেফতারের প্রতিবাদে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টসের (ডব্লুবিইউজে) উদ্বেগ প্রকাশ ও তীব্র ধিক্বার জানিয়েছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য সরকারকে সচেতন হতে হবে। এই মর্মে ডব্লুবিইউজে'র পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ পত্র প্রশাসনকে পাঠানো হচ্ছে। জানানো হচ্ছে, দ্রুত মুক্তির দাবি।

দিল্লিতে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা মিলিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। অন্যদিকে মঙ্গলবার দিল্লিতে এনইউজে'র অফিসে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টসের (এনইউজে)। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে সংবাদ কর্মীদের ওপর ঘন ঘন পুলিশি অত্যাচরের প্রতিবাদ করা হয়। এই সভায়

দিল্লি পত্রকার সংঘের প্রতিনিধিরাও হাজির হন। ওই সভায় অংশ নিয়েছেন ডব্লুবিইউজে-এর রাজ্য সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী।

সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে ছিলেন। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি তুলে ধরছিলেন। বিকেল ৫টা নাগাদ আচমকাই রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিনা নথিতে গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করলে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র কর রাজ্যে রাজনীতি সরগরম।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন