Top News

সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেফতার বেড়ে ১৯, ধৃতদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন

 


রবিবার দুপুরে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ প্রভাবশালী নেতা গ্রেফতার হওয়ার পরে সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেফতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯। ধৃতদের মধ্যে ৬ জন মহিলা রয়েছেন।

রবিবার ধৃত উত্তম সর্দার ও বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাদের দুজনকেই এক দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। 

রবিবার সকালে বাঁশদ্রোণীর বাড়ি থেকে সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরদারকে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় দু'ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এই বাম নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। শিবপ্রসাদ হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত সিপিএম নেতাকে বসিরহাটে নিয়ে আসা হয়। এর পরে বসিরহাট সামনে ধর্নায় বসে সিপিএম কর্মীসমর্থকরা।

বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত থাকার পরে সন্দেশখালি আপাতত শান্ত। পুলিশের টহল রয়েছে। রবিবার সিপিএম প্রতিনিধিদল ন্যাজাটে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। শনিবার বাধার মুখে পড়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দলও। দুই দলের প্রতিনিধিদের দাবি, তাঁরা সন্দেশখালির মানুষের কথা শুনে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁদের কিছুতেই সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না। 

পুলিশ জানিয়েছে, গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। নতুন করে কোনও অশান্তি যাতে না ছড়ায় তার জন্য এই ব্যবস্থা । 

সিপিএম নেতার স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী ৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সন্দেশখালিতে ছিলেনই না, তাহলে কীসের ভিত্তিতে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করল। মিথ্যে মামলায় তাঁর স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

একই অভিযোগ করেছেন ধৃত বিজেপি নেতা বিকাশ সিংয়ের স্ত্রী স্বপ্না সিং। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "এই অভিযোগ সত্য নয়, পুরোটাই মিথ্যে। আমাদের দোকানের সামনেই থানা। সেখানেই ওই দিন আন্দোলন হয়েছিল। ওই সূত্র ধরে পুলিশ বলছে, আমার স্বামী সকলকে উস্কিয়েছেন।"

স্বপ্নার যুক্তি, "হাজার হাজার মানুষ সেখানে আন্দোলন করছে। সেখানে এতগুলো মানুষকে উস্কানো কি একজনের পক্ষে সম্ভব? আমি চাই, শিবু হাজরা, শাহজাহান, উত্তম সর্দারের শাস্তি হোক।" 

শনিবারই উত্তম সর্দারকে গ্রেফতারের পরে বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার কনভেনার বিকাশ সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আদিবাসীদের জমায়েত মিছিল সংঘটিত করা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য উস্কানি দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি একবার জেল খেটেছিলেন। তারপরেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। বেশ কয়েক মাস আগে নতুন করে আবার বিজেপিতে জায়গা পান বিকাশ। তিনি বর্তমানে বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার কনভেনার।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন