Top News

গভীর রাতে ফোন করে ডাকা হত! পুলিশ কি জানত না? সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতি গাঙ্গুলির

 

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তিনি যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। এও জানালেন, 'আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ, তবে আপাতত মুখ বন্ধ করে রেখেছি।'

বিচারপতির কথায়, 'আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এরকম কখনও শুনিনি।

অনেক রাত্রে ফোন করে ডেকে পাঠানো হত মহিলাদের।'

গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা। প্রকাশ্যে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ফেরার তৃণমূল নেতা শাহাজাহান শেখের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, গভীর রাতে বাড়ির মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হত।

বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার সন্ধেয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এখানে একটা প্রশ্ন উঠে আসছে, প্রশাসন কি এই ঘটনার কথা জানত না, নাকি জেনেও চুপ করে বসেছিল?'

গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডির আধিকারিকদের। তারপর থেকেই ফেরার শাহাজাহান। একমাসের ব্যবধানে সেই সন্দেশখালিতে উলটপুরাণ! গ্রামবাসীদের ক্ষোভের জেরে কার্যত ঘরছাড়া শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক তৃণমূল নেতা। সামনে আসছে শাহজাহানের 'সন্ত্রাসের রাজনীতি'।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিদিন রাতে বাড়ির মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হত বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় জানিয়েছেন, সন্দেশখালির দুটি বিষয় নিয়ে আদালত খুবই বিচলিত। আদিবাসীদের জমি দখল করার অভিযোগ এবং এলাকার মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। দুটি বিষয় খুবই উদ্বেগজনক বলে জানায় আদালত।

এদিন ওই প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, "রাতের বেলা বাড়ির মহিলাদের জোর করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এটা আমার কাছে পশ্চিমবঙ্গের পরিচিত ঘটনা নয়।"

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন