এত কড়া আয়োজনের পরও পরীক্ষার প্রথম দিনেই ফাঁস হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। প্রথম ভাষা পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই প্রশ্নপত্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রটি আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে।
কে বা কারা তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। এই বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মালদহ থেকে প্রশ্নপত্রটি ভাইরাল হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ দিকে অনেক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার মাধ্যমিক প্রথম ভাষা পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যাতে 1.13 নম্বর থেকে 2.1.2 নম্বরের প্রশ্ন পর্যন্ত প্রশ্ন ছিল।
কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে? তা জানার জন্য চলে খোঁজ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দুই অভিযুক্তকে খুঁজে বার করে পর্ষদ। সেখানে ২ পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয় বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই দেখা গেল ভাইরাল ছবিটি আসল প্রশ্নপত্রের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বোর্ড সংশ্লিষ্ট ক্রমিক নম্বর কোড থেকে মালদহের দুই ছাত্রকে চিহ্নিত করে তাদের পরীক্ষা বাতিল করেছে।
উল্লেখ্য, প্রশ্নফাঁস রোধে এ বছর প্রশ্নপত্রে ক্রমিক নম্বর কোড পদ্ধতি চালু করেছে বোর্ড। যাতে কোনোভাবে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে এর পেছনে কারা রয়েছে তা জানতে পারে। ওই কোডের ভিত্তিতেই প্রশ্ন ফাঁসের পরপরই দুই শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন