দেশের গোপন তথ্য পাচার করেছেন তিনি, এমনই অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। এবার এই মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ছিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত গোপন কূটনৈতিক তথ্য তিনি পাচার করেছেন। এই মামলার শুনানি ছিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালতে মঙ্গলবার। সেখানেই ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের তেহেরিক-ই-ইনসাফের সভাপতি শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ঐ একই সাজা ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত।
ইমরানের সাজা ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত
এদিনই ইমরান খানের (Imran Khan) ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত। প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এই মুহূর্তে চলছে পাকিস্তানের আদালতে। তারই মধ্যে অন্যতম মামলা ছিল কূটনৈতিক তথ্য পাচার। যদিও বরাবরই ইমরানের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগে খারিজ করেছে তাঁর দল এবং এই গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই তুলে ধরেছে তারা। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর জন্যই ওই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে ইমরানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে।
২০২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত হন ইমরান
ঠিক দু বছর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত করা হয় পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। ২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট তাঁকে কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদ কোর্ট। তোশাখানা মামলায় তখন তিন বছরের সাজা ঘোষণা হয় ইমরানের। জানা গিয়েছে, এতদিন অ্যাটাক ডিস্ট্রিক্ট জেলে বন্দি ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। গত ডিসেম্বর মাসেই তিনি জামিন পান। কিন্তু তার সঙ্গে অন্যান্য মামলাগুলি চলায় এতদিন জেলেই ছিলেন ইমরান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন