গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকেরা। ওই ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তিন ইডি কর্তাকে। এ নিয়ে পরে মামলাও হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ঘটনাটির সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
সোমবার সেই মামলাতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলও ওই মামলায় যুক্ত হতে চান।
কী ভাবে কথোপকথন এগোল তা তুলে দেওয়া হল এখানে—
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত: ওই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি ‘সুপারভিশন টিম’ বা তত্ত্বাবধান দল গঠন করা হয়েছে। তদন্তে নজরদারির জন্য ওই দলে রয়েছেন এসডিপিও, ডিএসপি এবং সার্কুলার ইন্সপেক্টর।
বিচারপতি: কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? সেখানে কত জন ছিলেন?
রাজ্য: অভিযোগ মোতাবেক প্রায় ৩ হাজার লোক ছিল।
বিচারপতি: ইডির অভিযোগ বাড়ির ভিতর থেকে শাহজাহান ওই লোকেদের উস্কানি, প্ররোচনা দিচ্ছেন। তার পরেই হামলা চালানো হয়।
বিচারপতি: ওই ঘটনার পরে আপনারা কি শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন?
রাজ্য: না।
বিচারপতি: কেন করেননি? এটা আদালতকে অবাক করছে? এটাই তো পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা।
রাজ্য: ঘটনার ১২ ঘণ্টা পরে ইডি এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার পরের দিন শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। এখনও পর্যন্ত তারা তিন বার সেখানে গিয়েছে। বাড়ি তালাবন্ধ রয়েছে।
শাহজাহানের আইনজীবী: মামলায় যুক্ত করা হোক। আমার বক্তব্য শোনা হোক।
বিচারপতি: এত ক্ষণ ধরে পাশ থেকে আপনি রাজ্যের এজিকে বিরক্ত করছিলেন। এটা ঠিক নয়। প্রভাব খাটানোর কোনও চেষ্টা করবেন না। কেন আত্মসমর্পণ করেননি?
শাহজাহানের আইনজীবী: আমার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ইডির অভিযান সঠিক ছিল না।
বিচারপতি: তবুও আপনার ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।
সিবিআইয়ের আইনজীবী: মামলায় যুক্ত হতে চাইলে ওকালতনামা জমা দেওয়া হোক।
বিচারপতি: ঠিক আছে।
বিচারপতি: রাজ্যকে এই মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে আসতে হবে। আগামীকাল পরবর্তী শুনানি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন