সন্দেশখালি কাণ্ডে ইডির করা মামলায় রাজ্য পুলিসকে ভর্ৎসনা কোলকাতা হাইকোর্টের। অভিযুক্ত রয়েছে তিনহাজার, গ্রেপ্তার মাত্র চারজন কেন? দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আদালতের। রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হয়, তিনহাজার নয়, অভিযুক্ত ৮০০ থেকে একহাজার।
প্রসঙ্গত, এদিন কেস ডাইরি না আনায় প্রথমেই হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিস। এই মামলায় কেস ডাইরি না দেখে কোনও অর্ডার দেওয়া যায় না, মন্তব্য বিচারপতির। আগামীকাল কেস ডাইরি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া গ্রেপ্তারি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। এটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সৎভাবে বিচারের ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুন। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, শংকর আঢ্য ও শেখ শাহজাহানের নাম পাওয়া যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সূত্রে। সেখানে তাল্লাশিতে গেলে হামলা হয় ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে। উলটে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে FIR হয়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন জানানোর হয়।
উল্লেখ্য, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন জানান, মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পরই আদালতের প্রশ্ন, এখন কে তদন্ত করছে? অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, লোকাল পুলিস তদন্ত করছে ডিএসপি’র নেতৃত্বে। বিচারপতির প্রশ্ন যে, তিন হাজার অভিযুক্ত চার জন গ্রেপ্তার কেন? অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, তিনহাজার নয়, ৮০০ থেকে ১০০০ অভিযুক্ত। বিচারপতি পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ৩০৭ ধারা কেন যোগ হয়নি? এখনও কেন ন্যাজাট থানার পলিসকে তদন্তে রাখা হয়েছে? এতদিনেও মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি। ইডির অভিযোগ যে, ঘটনার সময় শাহজাহান বাড়িতে ছিল। সব ঘটনার পরে পুলিস আদৌ সেই বাড়িতে ঢুকেছিল কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন