অজয় দেবগণের ‘রেইড’ সিনেমার কথা মনে রয়েছে! এ যেন একই প্লট। শুক্রবার সকালে ভোরের আলো ফোটার আগেই রেশন দুর্নীতিতে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। গন্তব্য ছিল সন্দেশখালির দাপুটে নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়ি। বাড়ি পৌঁছাতেই দেখে গেটে তালা। তিনি বাড়িতে নেই। সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল ইডি আধিকারিকদের কাছে। সেসময়ে আধিকারিকরা বাড়ির তালা ভাঙতে চেষ্টা করেন। আর তখনই বদলে যায় পরিস্থিতি।
হাজার হাজার গ্রামবাসী বাঁশ, লাঠি, লোহার রড. আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ধরেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতে হামলা। ইডি আধিকারিকদের ওপরে চড়াও হলেন। বাদ গেলেন না সিআরপিএফের জওয়ানরাও। মার খেতে হল তাঁদের। রীতিমতো রে রে করে অস্ত্র হাতে তাড়া করেছেন। আর আধিকারিক, জওয়ানরা দৌড়াচ্ছেন সামনে। বেশ কিছুটা দৌড়ে, তারপর যা সামনে পেয়েছে, সে টোটো, কিংবা অটো বা বাইক কিংবা কারোর ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে, তাতে করে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। তার পরও জনতার রোষের থেকে রেহাই মেলেনি। গ্রামে বেরনোর পথে দুই ইডি আধিকারিকদের বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে আধিকারিকদের মাথা থাকে। কিন্তু তারপরও এলাকার কোনও হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে যাননি তাঁরা। ভয়ে কোনওমতে এলাকা থেকে বেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে অনেকটা দূরে এগিয়ে এসে তাঁরা এক জায়গায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সব সহকর্মীর এখনও দেখা পাননি ইডি আধিকারিকরা। তাঁরা চিন্তিত। গ্রামেই পাছে না আটকে পড়েন তাঁরা….
গাড়ির মধ্যে বসেই এক আক্রান্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিক বলেন, “সবাইকে ইট দিয়ে মেরেছে। এত সমস্যা, আগে তো দেখিনি। এটা তো প্রথমবার।” গাড়ি দাঁড় করাতেই ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন