শীঘ্রই বদল হতে চলেছে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং অ্যাক্ট। প্রায় ১৫ বছর পর এই আইনে বদল আনতে চলেছে রাজ্য। নতুন এই আইনে কোন কোন নিয়ম সংযোজন বা বিয়োজন হবে, তা ঠিক করতে তৈরি হয় একটি বিশেষ কমিটি। সেই কমিটি ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত বিল্ডিং আইনের একটি খসড়া তৈরি করেছে। কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে তা পাশ হওয়ার কথা। রাজ্য সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর এই নতুন বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হলে তা আইনে পরিণত হবে। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, যে সব বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে, সেগুলির ওপরেও নিত্যদিন নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।
পুরনিগমের আধিকারিকদের দাবি, শহরের নাগরিকদের মানসিকতায় বিপুল পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তন এবং চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের বুকে মাথা তুলছে গগনচুম্বী ইমারত। এই পরিস্থিতিতে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখেই পুরনিগমের নিজস্ব বিল্ডিং আইনে বদল আনতে হচ্ছে। ২০০৯ সালে শেষবার এই আইনে বদল আনা হয়েছিল। তবে, বর্তমানে নিত্যনতুন সমস্যা এবং জটিলতা সামনে আসছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে আইন মেনে বাড়ি বানাতে পারছেন না নাগরিকরা। সেই সুযোগে বাড়ছে অবৈধ নির্মাণের প্রবণতা। পুরনো আইনের ফাঁক গলে চলছে বেআইনি নির্মাণ। এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ পুরসভায় জমা পড়েছে। এই বেআইনি মির্মাণ রুখতে পরবর্তীকালে নতুন নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে। সেগুলিকেও প্রস্তাবিত আইনের আওতায় আনতে চলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। বিগত দু’বছরে ভাঙা হয়েছে একাধিক অবৈধ নির্মাণ।বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে পুরনিগমের অফিসাররা সেই জায়গা সরজমিনে তদন্তে গিয়ে দেখাছেন, সেই সব অভিযোগের অধিকাংশই সত্যি। সমস্ত ক্ষেত্রেই দেওয়া হচ্ছে কাজ বন্ধের নোটিস। অথচ, তারপরও কাজ বন্ধের নোটিশকে বুড় আঙুল দেখিয়ে হয়েই চলেছে বেআইনি নির্মাণ। এধরণের বেআইনি নির্মাণ রুখতে যে সমস্ত জায়গায় কাজ বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেগুলির ওপর নজর রাখতে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই নির্দেশ মেনে নতুন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার থেকে ওই সব জায়গা নিয়মিত ঘুরে দেখবেন পুরনিগমের আধিকারিকরা। আপলোড করা হবে ছবি এবং ভিডিও।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন