Top News

কোচিং সেন্টারে ভরতির বয়সসীমা বেঁধে দিল সরকার, প্রকাশিত নয়া গাইডলাইন, নিয়মে কড়াকড়ি :

কোটায় ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার মাঝে কোচিং সেন্টার নিয়ে নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার আর ১৬ বছরের কম বয়সী কোনও পড়ুয়াকে ভরতি নিতে পারবে না কোচিং সেন্টারগুলি। শুধু তাই নয়, অবাস্তব কোনও....

• উল্লেখ্য, মাধ্যমিকের পরই দেশের লাখ লাখ পড়ুয়া কোটার টিকিট কাটে। রাজস্থানের এই শহর গোটা দেশের শিক্ষামহলের কাছেই অতি পরিচিত একটি নাম। ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল প্রবেশিকার প্রস্তুতির জন্যই এই শহরে পা রাখেন লাখ লাখ পড়ুয়া। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ছাত্রদের আত্মহত্যার জন্য বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে এই শহর। এই আবহে রাজস্থানের আগের কংগ্রেস সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল। আর এবার নয়া সরকার এসেও এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই সবের মাঝে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার।


• নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, সব কোচিং সেন্টারেই এমন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, যাঁদের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক। এছাড়া ছাত্র ভরতির সময় পড়ুয়ার অভিভাবকের কাছে ভালো মার্কস বা ব়্যাঙ্কের অবাস্তব প্রতিশ্রুতি করতে পারবে না। এদিকে বয়সসীমার পাশাপাশি কোচিং সেন্টারগুলিকে এটাও খেয়াল রাখতে হবে, মাধ্যমিকের নীচু ক্লাসের কোনও পড়ুয়াকে ভরতি করা যাবে না। 

• এদিকে কোচিং সেন্টারে পড়ুয়াদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা না থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রেশনই করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নয়া গাইডলাইনে। এদিকে প্রতিটি কোচিং সেন্টারকেই ওয়েবসাইট খুলতে হবে এবং তা আপডেট করে রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তথ্য সেই ওয়েবসাইটে দিতে হবে। 

• শুধু তাই নয়, ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের কোর্সের বিবরণ, পাঠ্যক্রম পূরণের সময়কাল, হোস্টেলের বিবরণ, বেতনের বিবরণ দিতে হবে বিস্তারিত ভাবে। পড়ুয়াদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলিকে পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি গাইডলাইনে। এদিকে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত মনোবিদের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে প্রত্যের পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের। 

• কোটা শহর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরিচিত। এই শহরে থাকা শিক্ষার্থীদেরর বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্রই JEE এবং NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দু'টি পরীক্ষাকে দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম বলে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিশু এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু মাত্র কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সুযোগ পায়। প্রকৃতপক্ষে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় দেশে আসন সংখ্যা অনেক কম। এ কারণেই বহু বছর ধরে একটানা প্রস্তুতির পরও সুযোগ পান না অনেকে। আর তাই তাঁরা আত্মঘাতী হন। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন