এই বিষয়ে বাস মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। ২০২৩ সালে মোট ৫৭৪টি বাসকে বাতিল করা হয়েছে। কারণ এগুলি ১৫ বছরের বেশি পুরনো। বাস মালিকরা ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। এই পরিবর্তন করার জন্য। পুরনো বাসের চেসিস বদলানো বাবদ ১৮ লক্ষ টাকা এবং বাসের বডি পাল্টাতে ৬ লাখ টাকা লাগবে। তার সঙ্গে রাস্তার কর তো রয়েইছে। অন্যান্য নথি–সহ আনুষঙ্গিক খরচ ১ লাখ টাকা দাবি করেছেন। বাসের বড় কিস্তি যদি কমানো না হয় তাহলে এভাবে বাস চালানো সম্ভব হবে না। যে রুটগুলিতে বাসের পরিবর্তন করা হচ্ছে সেগুলি হল—২৩৯, ২১৯, ১২সি/১ এবং ৪৪এ।
এদিকে বাসের জনপ্রিয় রুট হচ্ছে—১৮এ, বি/১, সি, ডি এবং ২৩৭। আর পুরনো রুটে ৫৫, ৩০এ, ৩৪বি এগুলিতে যে কোনও যানবাহন পরিবর্তন করা যেতে পারে। কলকাতা বাস–ও–পেডিয়ার সাধারণ সম্পাদক অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘২৫টি রুট আমরা চিহ্নিত করেছি। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বাসকে বাতিল করা হয়েছে। আর ১৮, ২৫৩, ২৩৭ রুটে ২০ থেকে ৪০টি বাস চলছে। অগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দেখা হবে কোনও একটি বাস যদি ফিট না থাকে রাস্তায় চলার জন্য সেগুলিকে বাতিল করা হবে।
অন্যদিকে ২০টি রুটের বেশি বিএস–৬ যানবাহন পায়নি। এই বিষয়ে সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহার বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকারের উচিত কর প্রদান এবং ব্যাঙ্ক ঝণে পরিবর্তন করা। বাসের ক্ষেত্রে জিএসটি আদায়ে ছাড় দেওয়া উচিত। যাতে বাস কেনা সম্ভব হয়। কোনও কোনও রুটে ৩৫টি বাস চালানোর ক্ষমতা আছে। কিন্তু কোনও একটি রুটে ১৫টি বিএস–৬ বাস নেই।’ কলকাতা বাস–ও–পেডিয়া গত চার বছরের উপর হিসেবনিকেশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০টি মিনিবাস রুট বন্ধ হয়েছে। তবে তার মধ্যে করোনাভাইরাসের দাপটও ছিল। তবে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাস এখন মানুষের দেহের সঙ্গে তুলনা চলছে। এখন বিতর্ক আনুষঙ্গিক খণ্ড পরিবর্তনের, গোটা দেহের নয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন