রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে পাঁচ মহিলাকে। কারও হাতে ছিল বাঁশ, কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে ফ্যানের ব্লেড। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাহায্যের জন্য আকুতি করা হলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। খাস কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই অভিযোগ। উল্টোডাঙা উড়ালপুলের কাছে একটি গলির ভিতর বস্তি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ১০০ ডায়াল করার মিনিট ২০ বাদে পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। ইতিমধ্যেই বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলারা। মারধর, শ্লীলতাহানি সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী মহিলারা বাইপাসের ধারের ‘আরবানা রিজেন্সি’র বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে উল্টোডাঙার কাছে ওই রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ সারতে গিয়েছিলেন তাঁরা। খাবার অর্ডার দেওয়ার পর তাঁরা শৌচালয় খুঁজছিলেন। সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁয় শৌচালয় ছিল না। খুঁজতে খুঁজতে পাশের বস্তির কাছে যান তাঁরা। এক অভিযোগকারী জানিয়েছেন, এক মহিলা ছুটে এসে তাঁদের ওই জায়গা থেকে সরে যেতে বলেন। শৌচালয়ের কথা মহিলাকে জানানো হয়। কোথাও একটু ব্যবস্থা করে দিতেও বলা হয়।
ওই মহিলা সাহায্য করার কোনও চেষ্টা করেননি। এরপর কথা কাটাকাটি হয় অভিযোগকারী যুবতীদের মধ্যে। মহিলা চিত্কার করে তাঁর স্বামীকে ডেকে আনেন বলে অভিযোগ। এরপর এক যুবতীর বুকে ঘুসি মারা হয় বলে অভিযোগ তিনি ছিটকে পড়েন রাস্তায়। এরপর ওই যুবতীরা চিত্কার শুরু করলে বস্তি থেকে আরও লোকজন ছুটে আসেন বলে দাবি অভিযোগকারীদের। তাঁদের হাতে ছিল বাঁশ, লাঠি, রড, ফ্যানের ব্লেড। ওই পাঁচ যুবতীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় একটি বাড়ির বাসিন্দারা ওই তরুণীর উপরে চড়াও হয়। তাদের সঙ্গে যোগ দেন এলাকার কিছু বাসিন্দাও। ওই তরুণীকে বাঁচাতে তাঁর বান্ধবীরাও এগিয়ে যান। অভিযোগ, সেই সময় ওই পাঁচ তরুণীকে রীতিমতো রড, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ঘুষিও মারা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে এক তরুণীর বাবা ঘটনাস্থলে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ওই তরুণীদের অভিযোগ, ঘটনার সময় তাঁরা ১০০ ডায়ালে ফোন করে সাহায্য চান। কিন্তু সেই সময় ওই এলাকা মানিকতলা নাকি বিধাননগর উত্তর থানার অধীনে পড়ে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তত্পর হয়নি বলেও অভিযোগ। এমন কি, ঘটনাস্থলে থাকা কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্টও সাহায্যে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ।পরে অবশ্য বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন