চাকরি বাতিলের নির্দেশ আপাতত স্থগিত রাখল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় কী কী তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা আগামী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে জানাতে হবে সিবিআইকে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট 'অযোগ্য'দের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ আপাতত বজায় থাকছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। এসএসসির নবম-দ্বাদশে শিক্ষক এবং গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ এখনই বাতিল করা হোক। যদিও তার বিরোধিতা করেন শিক্ষকদের পক্ষে আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া, পার্থসারথি দেববর্মণরা। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এভাবে এক ঝটকায় কয়েক হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকা উচিত।
পাটওয়ালিয়ার অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ অন্য পক্ষের বক্তব্য না-শুনেই নির্দেশ দিয়েছে। চার-পাঁচ বছর চাকরি করার পর বলা হয়েছে তাঁরা আর চাকরি করতে পারবেন না। তখন বিচারপতি ত্রিবেদি বলেন, 'মূল নিয়োগে যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে এক হোক বা দশ-যত বছরই চাকরি করে থাকুক, তা খারিজ হতেই পারে।' এসএসসির আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে।'
দীর্ঘক্ষণ সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি বসু ও বিচারপতি ত্রিবেদির বেঞ্চ জানায়, আদৌ নিয়োগে কোনও জালিয়াতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে সিবিআইয়ের রিপোর্ট কী বলছে দেখতে হবে। এরপরে বেঞ্চ জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে এই সব মামলা শুনানির কথা বলা হতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের যে বিচারপতি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন, তিনিও ওই বেঞ্চে থাকতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন