উত্তরাখণ্ডের নির্মীয়মাণ টানেল ভেঙে পড়ে আটকা পড়ে যাওয়া শ্রমিকদের কাছে এবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্টস। টানা ৭ দিনেরও বেশি সময় সুড়ঙ্গের গভীরে আটকে থাকার পর শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
সেই সঙ্গে তাঁদের শরীর ঠিক রাখার জন্য পাঠানো হচ্ছে ড্রাই ফ্রুট এবং মাল্টিভিটামিন।
৭ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ জন শ্রমিককে। ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে চলছিল অক্সিজেন পাঠানো। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল খাবার এবং জলও। ৪টি পাইপ ইতিমধ্যেই ঢোকানো হয়ে গিয়েছিল। মাঝে ধস নেমে ব্যাহত হয়েছিল উদ্ধারকাজ। তারপর ড্রিল করে পঞ্চম পাইপটি ঢোকানোর চেষ্টা করতেই শুক্রবার বিকেলে ফাটল ধরার বিকট শব্দ কানে আসে। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার পর শ্রমিকদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে আরও চার পাঁচ দিন লেগে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
উত্তরাখণ্ডের রোড ট্রান্সপোর্ট এবং হাইওয়ে সেক্রেটারি ঔরঙ্গ জৈন জানিয়েছেন, টানেলের যে অংশে আটকা পড়ে রয়েছেন শ্রমিকরা সেখানে সৌভাগ্যক্রমে বিদ্যুত্ রয়েছে। ফলে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে না ওই ৪১ জনকে। এছাড়া টানেলের ভিতর দু' কিলোমিটার লম্বা অংশে জলও রয়েছে। সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির এইটুকু অংশই তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঔরঙ্গ।
গত রবিবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভেঙে পড়েছিল টানেলটি। চারধাম যাত্রা প্রজেক্ট-এর অংশ হিসেবে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে তৈরি করা হচ্ছিল এই সুড়ঙ্গটি, যেটি নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলে যাত্রাপথের দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার কমে যেতে পারত। তবে আপাতত সেই কাজ বিশ বাঁও জলে। সুড়ঙ্গের ভেঙে পড়া অংশে আটকা পড়ে থাকা শ্রমিকদের সুস্থভাবে উদ্ধার করাই এখন উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন