বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনযায়ী যোগেশচন্দ্র ল কলেজে পৌঁছালো সিআইডির দল। তদন্ত শুরু করল গোয়েন্দা দল। কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে রবিবার সকালে পৌঁছল সিআইডি-র একটি টিম। এই কলেজে নিয়োগ ও আর্থিক বেনিয়ম নিয়ে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের এজলাসে মামলা দায়ের হয়।
মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তত্পর রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। জানা যাচ্ছে, রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কলেজে যায় সিআইডির দল। ছুটির দিনেও কলেজে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য। তাঁকেই এলাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু নথিও রাজ্য গোয়েন্দা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন বলে খবর।
সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অধ্যক্ষার পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর ঘরে তালা ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে পদ ফিরে পান সুনন্দা। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
যোগেশ চন্দ্র ল কলেজের আর্থিক বেনিয়ম মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। আর্থিক বেনিয়ম ও নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে জেরা করার পাশাপাশি তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারীরা তাঁকে হেফাজতেও নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। অর্থনৈতিক দুর্নীতি, জালিয়াতি সহ একাধিক অভিযোগে যোগেশ চন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলেজের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।
আগামী ১৮ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিন তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিআইডিকে। এই মামলাতেও যোগসূত্র রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন