বাংলাদেশে পূজার মৌসুমে ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে টান পড়তে পারে বাজারে। শুধু খোকা ইলিশ নয়, আগামী ২০ দিনের জন্য সব ধরনের ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। মাছের প্রজনন মৌসুমের কথা মাথায় রেখে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিন চলবে ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় দেশের নদী ও সাগরে জাল ফেলা, মাছ ধরা, বহন ও মজুদ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই আড়তদারের কাছে হিসাব মিটিয়ে বাড়ি ফিরছেন জেলেরা। কারো কারো মতে, এ বছর অধিকাংশ জেলে মহাজনদের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলবে। এ সময় ডিমসহ নদীতে ডিম পাড়তে সাগর থেকে উঠে আসবে ইলিশ। তাই ভোলাসহ ২০টি জেলার নদীতে জাল ফেলা বা মাছ ধরা যাবে না। এই সময়ে বরফকল বন্ধ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মৎস্য অধিদফতরের সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন বলে জানা গেছে। এ সময় দেশের কয়েক লাখ নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি চাল দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপ-জেলার মাছের ঘাটে অভিযান চালানো হবে। জেলেরা জানান, এ বছর তাঁরা আশানুরূপ ইলিশ পাননি। সাগর-নদীতে ছুটলেও কাঙ্খিত ইলিশ আসেনি। ইলিশের আকাশছোঁয়া দাম সত্ত্বেও মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারেননি জেলেরা।
উল্লেখ্য, পূজা মৌসুমে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার ফলে মাছের বাজার সরবরাহে প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। দামও বাড়তে পারে। বলে রাখা ভালো যে বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল পর্যন্ত খোকা ইলিশ (স্থানীয় ভাষায় জাটকা) সুরক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে আশ্বিনের প্রথম মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে ১১ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকেই তাঁরা ইলিশ ব্যাবসায় সুফল পেতে শুরু করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন