রাস্তার দুই লেনের মাঝে গাড়িটা আছড়ে পড়েছিল, তার বসানো বসানো বিদ্যুতের খুঁটির গায়ে। সেটিকে উপড়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি উল্টে যায়। চার বার উল্টেপাল্টে যাওয়ার পরে শেষে যখন গাড়িটি থামে, তখন তার সামনের অংশ বলতে আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না। গাড়ির এক পাশ দুমড়ে গিয়ে ভিতরের দিকে ঢুকে গিয়েছিল।
খুলে বেরিয়ে গিয়েছিল চাকা। উইন্ডস্ক্রিনও টুকরো টুকরো হয়ে কাচের গুঁড়ো মাখানো চাদরের মতো ইঞ্জিনের উপরে পড়েছিল। মা উড়ালপুলে এমন ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল গাড়ি চালকের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মৃতের নাম নীহার আগারওয়াল (১৯)। জখম এক তরুণী-সহ গাড়িতে থাকা আরও ৪ জন। তাঁদের নাম প্রোজ্জ্বল আগারওয়াল, পার্থ গারোদিয়া, অনুরাধা দাগা এবং তনয় দাগা। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছে। এরপর দ্রুত গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির দরজা কেটে নীহারকে বার করে এনে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, নীহার পার্ক স্ট্রিটের একটি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তাদের পরিবারের গাড়িতেই বেরিয়েছিলেন সকলে। চালকের আসনে ছিলেন নীহার, পাশে বসে ছিলেন পার্থ। পিছনে ছিলেন প্রোজ্জ্বল, অনুরাধা এবং তনয়। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বেরিয়ে এক রেস্তরাঁয় কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে মা উড়ালপুলে ওঠে তাদের গাড়ি। ইএম বাইপাস থেকে লেক টাউনে যাওয়ার উড়ালপুলের কাছে একটি ধাবায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই গাড়িটিকে পরীক্ষা করবেন কলকাতা পুলিশের ফেটাল স্কোয়াডের কর্মীরা। গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। পরিবারের তরফে জানা যায়, নীহার ওই পরিবারের ছোট ভাই, ছেলের শোকে তাদের কারও কথা বলার মতো শক্তি নেই। কোনও মতে তাঁরা বেঁচে ফিরেছে।'' পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন